বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও দেশের ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি তাচ্ছিল্য এবং অবমাননাকর বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপিত বাজেটে ধর্মমন্ত্রণালয়ের অনুকুলে প্রস্তাবিত ১৫০৫৪.০৩ কোটি টাকার মধ্যে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের মাত্র ১.৯৩% অর্থাৎ ২৯০.০৮ কোটি টাকা প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশের মোট জনসংখ্যার ১২% হলেও জাতীয় বাজেটে বরাদ্ধ রাখা হয়েছে ২% (দুই পার্সেন্টেরও কম অর্থ)।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের সম অধিকারের ভিত্তিতে সমমর্যাদার কথা বলা থাকলেও এই বাজেটে তার কোন প্রতিফলন না থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
হিন্দু মহাজোটের প্রধান সমন্বয়কারী শ্যামল কুমার রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সমাবেশে ঘোষিত বাজেটের অসামঞ্জস্যতা দূর করে নায্যতার ভিত্তিতে জনসংখ্যার আনুপাতিকহারে প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন ও পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের মুখপাত্র ও মহাসচিব পলাশ কান্তি দে। অন্যান্যের মধ্যে হিন্দু মহাজোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, ছাত্র ও যুব মহাজোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।